কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থী–জনতা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘শেখ হাসিনার বিচার দাবি ও ক্যাম্পাসে দখলদারির ছাত্র রাজনীতি বন্ধ’–এর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের মোর্চা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “উপদেষ্টাদের খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিতে চাই, যেভাবে আমরা স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না। কিছু গণমাধ্যম হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চায়। ছাত্র–জনতা এটি কোনোভাবেই হতে দেবে না। হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মামলা করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, এটাই আমাদের মূল দাবি।”
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “আমরা দেখছি, আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের হায়না এবং শকুনেরা ‘ক্যু’ করার চিন্তা করছেন। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা যখন এক হয়েছে, তখন আপনাদের এসব ক্যু লেজ গুটিয়ে পালাবে।”
সমাবেশে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও আরেক সমন্বয়ক আখতার হোসেন বলেন, “হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কিন্তু দেশে এখনো স্বৈরাচার রয়ে গেছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যে অপকর্ম চালাচ্ছে, আমরা ছাত্রসমাজ সকল অপকর্ম শক্ত হাতে দমন করব। আমাদের দেশে যারা অমুসলিম আছে, তাদের ওপর হামলা হতে পারে। আমরা ছাত্রসমাজ তাদের নিরাপত্তায় বুক পেতে দেবো। আর সামনে ১৫ আগস্ট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে, আমরা তাদের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হতে দেবো না।”
রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ করে একটি মিছিল বের করা হয়, মিছিলটি শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।