খন্দকার মোশতাকের মতো শকুনিরা এখনো ঘাপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “শকুনিদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ একটি মহীরুহ, যা খরতপ্ত দুপুরে মানুষকে ছায়া দিয়েছে। এই মহীরুহে খোন্দকার মোশতাকের মতো শকুনিরাও বাসা বেঁধেছিল, এখনো তারা ঘাপটি মেরে আছে। তাই তাদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে।”
সোমবার (৯ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক কূটনীতিক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকারে চাহিদা পূরণ করেছেন। এসব অধিকার পূর্ণ হওয়ায় মানুষ এখন মানুষের মর্যাদা পাচ্ছে। আনন্দের বিষয় ফকির-মিসকিনরা এখন পান্তা ভাত খেতে চায় না। তাই আমরা খুশি।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর। পৃথিবীর কয়টি দেশে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা বই উৎসব উদযাপন করে এবং বিনামূল্যে তা বাড়িতে নিয়ে যায়? এটা শেখ হাসিনার অনন্য উপহার। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।”
বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে মতিয়া চৌধুরি বলেন, “যারা সরকারের সাফল্যগুলোকে বাদ দিয়ে মন্দগুলোকেই খুঁজে বেড়ান, তাদের উচিত মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণ নিয়ে শেখ হাসিনা জাতিকে যে উপহার দিয়েছেন তা নিয়ে গবেষণা করা। আগে সনদপত্র বা পরিচয়পত্রে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জীবন বৃত্তান্তে শুধুমাত্র বাবার নাম লেখা হতো। এখন সেখানে মায়ের নাম উল্লেখ থাকাটা বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। পৃথিবীর কয়টি দেশে এই ধরনের নারী-পুরুষের সমতামূলক আইনগত বিধান রয়েছে?”