• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাত পোহালেই দুই সিটিতে ভোট


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম
রাত পোহালেই দুই সিটিতে ভোট

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ। এরই মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দুই সিটির নতুন জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে ভোট দেবেন প্রায় আট লাখ মানুষ।

সিটি করপোরেশন গঠনের পর বরিশালে এবার চতুর্থ নির্বাচন হচ্ছে; খুলনার হবে ষষ্ঠ নির্বাচন দুই সিটিতেই ভোটের পরিস্থিতি নজর রাখতে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বরিশালে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন। আর খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই সিটির সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে; ভোটার যাচাই ও ইভিএম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন

বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাত প্রার্থী। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির মো. ইকবাল হোসেন, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম। এছাড়াও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, হরিণ প্রতীকে মো. আলী হোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকে মো. আসাদুজ্জামান এবং টেবিল ঘড়ি নিয়ে মো. কামরুল আহসান।

বরিশাল পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয় ২০০২ সালে। এর বর্তমান আয়তন ৫৮ বর্গকিলোমিটার। আগের তিনটি সিটি নির্বাচনে ২ বার আওয়ামী লীগ ও একবার বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন এই সিটিতে।

এরমধ্যে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরণ, ২০১৩ সালে বিএনপির আহসান হাবিব কামাল ২০১৩ এবং সবশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

খুলনা সিটি করপোরেশন

বরিশালের মতো খুলনা সিটি করপোরেশনেও কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। রোববার (১১ জুন) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে দায়িত্বে থাকারা চলে যান নিজ নিজ কেন্দ্রে।

ভোটের দিন বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট হাজার ৩০০ সদস্য এই সিটিতে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

সুষ্ঠু ভোটের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরাসরি ভোট মনিটর করবেন। এছাড়াও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকেও এটা মনিটর করা হবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই ভোটার যেন নিজের ভোটটা প্রয়োগ করতে পারে এবং ভোট দিয়ে যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে।”

খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বরিশালের মতো খুলনাতেও কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।

নির্বাচনে গতবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান।

সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর এটি হতে যাচ্ছে খুলনায় ষষ্ঠ নির্বাচন। আগের ৫ সিটি নির্বাচনে তিনবার বিএনপি ও দুইবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৯৯৪ ও ২০০২ সালের সিটি নির্বাচনে মেয়র হন বিএনপির শেখ তৈয়বুর রহমান এবং ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে মেয়র হন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক। আর ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির মো. মনিরুজ্জমান মনি।

Link copied!