খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দুই সিটিতেই ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। এ দুই সিটিতে আট লাখের বেশি ভোটার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন।
নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি কেন্দ্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে টহল দিচ্ছে র্যাব ও বিজিবি। এ ছাড়া বরিশালে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের ১০৬টি ও খুলনায় ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১৬১টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গাজীপুরের মতোই বরিশাল ও খুলনার কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা, যার মাধ্যমে ঢাকায় বসে সরাসরি ভোটের পরিস্থিতিতে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন। এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন লড়ছেন।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। ভোটের দিন সীমিত থাকবে যন্ত্রচালিত যান চলাচল। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সব ধরনের মিছিলের ওপরও। ভোট দেওয়ার সুবিধার্থে ভোটের এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।
খুলনা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, “সকাল ৮টা থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে।”
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, “নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির টহল টিমের সঙ্গে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।”
দুই সিটির ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, “খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে। অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনের বিধিবিধান প্রতিপালনে আমাদের অবস্থান কঠোর ছিল। খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপ আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নজরে রাখছি। ভোটের দিনও আমরা সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।”