• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরের ভাইরাল বক্তব্য


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০২:০৬ পিএম
বছরের ভাইরাল বক্তব্য

সময়ের পরিক্রমায় শেষ হতে চলেছে আরেকটি বছর। এক দিন পরই বিশ্ববাসী স্বাগত জানাবে ২০২৩ সালকে। কিন্তু কেমন ছিল ২০২২ সাল? তার হিসাব-নিকাশই চলছে এখন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘটে যাওয়া আলোচিত উক্তি নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন।

ইউনূসকে চুবানি, আর খালেদাকে টুস করে পদ্মা নদীতে ফেলা উচিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন “একটি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছে, তাকে পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে তোলা উচিত। তাহলে যদি শিক্ষা হয়। পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করাল ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটি এমডি পদে তাকে থাকতে হবে।” অন্যদিকে “খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও এসব বলেছে। তাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।” ১৮ মে আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতুকে ‘গোল্ডেন সেতু’ বলতেই পারি

পদ্মা সেতুর মতো একই দৈর্ঘ্যের অন্যান্য সেতুর কাজের সঙ্গে তুলনা করলে এ সেতুকে আমরা গোল্ডেন সেতু বলতেই পারি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ৮ জুন জাতীয় সংসদে তিনি এই মন্তব্য করেন। রুমিন ফারহানা বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় কয়েক দফা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এটা যদি আমরা ভারত, মালয়েশিয়া, চীন ও জাপানের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে তাদের খরচ পড়ে ৫০০-৭০০ কোটি টাকা। এছাড়া আমরা যদি ভূপেন হাজারিকা সেতুর দিকে তাকাই, ৯ কিলোমিটারের ব্রিজ নির্মাণে খরচ হয় ১১০০ কোটি রুপি। অর্থাৎ একটা পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় দিয়ে ৩০টি ভূপেন হাজারিকা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।”

‘১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, “১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে, অন্য কারো কথায় নয়।” ৮ অক্টোবর সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন। আমান উল্লাহ আমান বলেন, “নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যদি পাঁচ হাজারও শহীদ হতে হয়, এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।”

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “রিজার্ভের অর্থ দেশের উন্নয়ন, আমদানি ও জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি।” তিনি বলেন, “যারা এই প্রশ্নটা করেন তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে, রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য কেনায়, সার কেনায়। কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি। ২৭ অক্টোবর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন পায়রা সমুদ্রবন্দরে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে খাননি, গিলে ফেলেছেন

রিজার্ভের টাকা প্রধানমন্ত্রী চিবিয়ে খাননি, গিলে ফেলেছেন—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৭ অক্টোবর যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুব সমাবেশে’ বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “গুলি করে বিএনপিকে দমন করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। তা হতে দেবে না নেতাকর্মীরা। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। তাদের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।”

হাওয়া ভবন আসলে একটা খাওয়া ভবন

খাওয়া ভবন করে জনগণের টাকা গিলে খাওয়া, দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বচোর উপাধি পাওয়া বিএনপির এখন বড় গলা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। ২৮ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিশ্বচোরদের গলা বড়। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধি পেয়েছিল।”

বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেব

বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে পাঠানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোলন ও হুমকির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানবিক কারণে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার অনুমতি সরকার দিয়েছে। তবে তারা যদি আবার বাড়াবাড়ি করে, তাহলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” ৩ নভেম্বর বিকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন।

খেলা হবে, অনেক খেলা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “খেলা হবে, অনেক খেলা। দেখা যাবে, কত ধানে কত চাল। অপেক্ষা করুন।” ৩ ডিসেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এখানেই শেষ নয় বিভিন্ন সভা সমাবেশেও তিনি ‘খেলা হবে’ বলেন। তার এই বক্তব্যকে ঘিরে দেশজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা গেছে।

ফখরুলের অন্তরে জ্বালা, জ্বালা রে...জ্বালা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন, “ফখরুলের অন্তরে জ্বালা, জ্বালারে...জ্বালা”। তিনি বলেন, “চারদিকে উন্নয়ন, শেখ হাসিনার মমতার হাত, উন্নয়নের হাত। বঙ্গবন্ধু টানেল প্রস্তুত। ঢাকা মেট্রোরেল প্রস্তুত। ফখরুলের বড় জ্বালা।” ৫ ডিসেম্বর দুপুরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কেউ আগুন দিতে এলে হাত পুড়িয়ে দিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বিএনপি যে হাত দিয়ে গাড়িতে আগুন দেবে ওই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। তারা লাঠি নিয়ে এলে আমরাও লাঠি নিয়ে পাল্টা জবাব দেব। ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সকল সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।”

Link copied!