রাজধানীতে চাহিদা অনুযায়ী শীতকালীন শাকের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম বেড়েছে। এতে বিক্রিও কমেছে মৌসুমি এসব শাকের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বাজারে শাকের দামে এই পরিবর্তন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নগরীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, শাক ব্যবসায়ীরা, পালং, লাল, সরিষা, মুলা, ডাটা, লাউ, নাপা, পুঁই ইত্যাদি শাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। এসব শাক আঁটি হিসাবে বিক্রি করেন তারা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরিষা, লাল, মুলা, নাপা ইত্যাদি শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। এসব শাকের প্রতি আঁটিতে রয়েছে ২৫০ গ্রামের একটু বেশি পরিমাণের শাক। এছাড়া লাউ শাক প্রতি আঁটি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং প্রতি এক হালি (৪টি) ডাটা শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
গত বছরের এই সময়ে এসব শাকের প্রতি আঁটির দাম ছিল ৫ থেকে ৭ টাকার মধ্যে। আর পুঁই ও ডাটা শাকের দাম ছিল ১৫ টাকার মধ্যে।
ক্রেতারা বলছেন, মৌসুম অনুযায়ী শাকের এই মূল্যবৃদ্ধি কাম্য নয়।
সোহেল নামের এক ক্রেতা বলেন, “গত বছর যে শাক কিনছি ৫ টাকায়। এ বছর সেই শাক কিনতে হচ্ছে ১০ টাকায়। আঁটি প্রতি প্রায় ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। মান নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। সব জিনিসের দাম বেশি। তাই এই শাকের দামও মেনে নিতে হচ্ছে।”
সৌরভ বাগচি নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শাক রাখা দরকার। তাই শাক যত দামেই হোক কিনতেই হয়। এখন দাম বাড়ছে আবার আঁটিতে শাকের পরিমাণও কমেছে। কিছু করার নেই।”
শরিফুর নামের এক শাক বিক্রেতা বলেন, “এ বছর চাহিদা যে টুকু রয়েছে সে হিসাবে সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে গত বছরের তুলনায় দাম এ বছর বেশি। অনেক সময় দেখা যায় বিক্রি হয় না। দুইদিন রাখতে হয়। পচে যায় কিছু। এতে লোকসান হয়। কিন্তু কি করার। আর ক্রেতা এবার একটু কম।”
মনির হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “এ বছর সব জিনিসের দাম বাড়ছে। তাই কৃষকের উৎপাদন খরচও বাড়ছে। এজন্য শাকের দাম বাজারে গত বছরের তুলনায় বেশি। তাছাড়া দোকান এখন বাড়ছে। তাই বিক্রি কম।”