অসহ্য গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে এবারের বর্ষকাল। আষাঢ়ের প্রথম দিনে (শনিবার) বৃষ্টি হলেও গরম কমেনি। দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টি ঝরেছে। সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার দিনে দেশের অনেক অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি বা মেঘলা আকাশ অসহ্য গরমে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ছিল ঈদের দিনে হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে। তা ছাড়া দেশের ৯টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি ভারী না হলেও কোথাও কোথাও হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে তীব্র গরম অনুভূত হয়েছে। ঈদগাহে নামাজ পড়তে গিয়ে ঘামে ভিজেছেন অনেকেই। দুপুরের দিকে ভ্যাপসা গরমের মাত্রা ছিল অনেক বেশি।
এদিকে, সোমবার (১৭ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।
ঈদের দিনে সকাল ৬টার দিকে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। ফলে বেশি জলীয়বাষ্প থাকায় ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি বেড়ে যায়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে আগামী মঙ্গল ও বুধবার দিনও অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকবে।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসিন্দা নওশীন তাবাসসুম বলেন, ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে থাকলেও অসহ্য গরমে বাইরে বের হতে ইচ্ছে করেনি। ঈদের খুশি অনেকটা মাটি হয়েছে।
একই কথা বললেন এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা আকতারুজ্জামান। তিনি ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে গিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। বলেন, একদিকে রোদ, আরেকদিকে ভ্যাপসা গরম। একেবারেই ঘামে ভিজতে হয়েছে।