রেলওয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রায় ২০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ রেলওয়েতে গত ৯ মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুই হাজার ৮৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনবল সংকট দূর করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই জনবল সংকট নিরসন হবে বলে।”
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে এম. আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, “বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৫ বছরে ১৩০টি নতুন ব্রডগেজ কোচ, ২৫৮টি মিটারগেজ কোচ, ৩০টি মিটারগেজ এবং ২৫টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ রেল বহরে যুক্ত করা হয়েছে। আরও ৮৯টি মিটারগেজ কোচ, ২২০টি ব্রড গেজ কোচ এবং ৭৫টি মিটারগেজ লাগেজ ভ্যান, ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান, ৫৮০টি মিটার গেজ ওয়াগন, ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন ও ১৫টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ সংগ্রহ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।”
রেলমন্ত্রী বলেন, “পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল জেলা স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে রিমডেলিং করা হবে। স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা কাউন্টার, কোচ সংরক্ষণ ও স্বতন্ত্র টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনের অভ্যন্তরে মানসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে ও ট্রেনে যাত্রীদের অনবোর্ড সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।”
নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, “যাত্রীদের ট্রেনে আরোহণ ও অবতরণের সুবিধার্থে প্লাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য স্টেশনগুলোতে হুইল চেয়ার ও র্যাম্প রয়েছে। বিনা টিকিটের যাত্রী যাতে স্টেশন বা ট্রেনে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বড় স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে।”