ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, “সরকার প্রণীত টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা অ্যাকশন প্ল্যান অনুসরণ করে ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃব্যবহার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা এবং ওই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকার উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পরিবেশবান্ধব এবং জৈব-পচনশীল বস্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।”
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য বিধিমালা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। সরকারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল ‘3R’ পলিসির লক্ষ্য হলো উন্মুক্ত জমি, নদী, নালা, খাল এবং সমভূমিতে বর্জ্য নিষ্পত্তি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা এবং উৎসে বর্জ্যের বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণের মাধ্যমে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা এবং এর পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যগুলোর জন্য একটি বাজার তৈরি করা।
তিনি আরও বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণের সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে কঠিন বর্জ্যসংক্রান্ত সমস্যার টেকসই সমাধান অর্জন করতে সক্ষম হওয়া সম্ভব।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিবেশ সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা এবং বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর ইজাজ হোসেন প্রমুখ।