দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে বারবার বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বলা হচ্ছে। হরতাল, অবরোধসহ পালন করা হচ্ছে নানা কর্মসূচি।
সোমবার (২০ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়।
নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও এর বৈধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়াবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক, সব সময় এটাই আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) চাওয়া।”
ওই প্রশ্নে বলা হয়, “বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে (আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা। ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চোখে এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে নাকি (বিএনপির নির্বাচন বয়কটের প্রেক্ষাপটে) নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্তি ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াবে?”
মিলার এই প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, “বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বারবার আমার দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে (কথা বলা থেকে) আমি বিরত থাকব।”
বাংলাদেশে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতা বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিষয়েও তারা নিন্দা জানাচ্ছেন।