‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই সতর্কতায় কিছুটা শিথিলতা এনেছে ওয়াশিংটন। তবে নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে মার্কিন নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত জুলাইয়ের ভ্রমণ সতর্কতার আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে এতে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের সতর্কতা লেভেল ফোরে (চতুর্থ ধাপ) ছিল, এখন তা কমিয়ে লেভেল থ্রিতে (তৃতীয় ধাপ) নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ এখন বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে চাইলে যেকোনো মার্কিন নাগরিক তা করতে পারেন। তবে নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে মার্কিন নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের সমাবেশ বা জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, অস্থিরতা, অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন। কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক সমাবেশ এড়িয়ে চলুন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। ব্রেকিং ইভেন্টগুলোর জন্য স্থানীয় মিডিয়ায় নজর রাখুন।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, কোনো ডাকাতির প্রচেষ্টাকে শারীরিকভাবে প্রতিহত করবেন না। একটি নিরাপদ এলাকায় যান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধমূলক ঘটনা রিপোর্ট করুন। কনস্যুলার পরিষেবাগুলোর আপডেটসহ সতর্কবার্তা পেতে স্মার্ট ট্র্যাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রামে নথিভুক্ত করুন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ফেসবুক ও এক্সে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনুসরণ করুন। বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি সিকিউরিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করুন। জরুরি পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখুন। অনুগ্রহ করে ট্র্যাভেলার্স চেকলিস্ট পর্যালোচনা করুন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সংক্রান্ত একটি এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা তালিকায় বাংলাদেশকে লেভেল-ফোর (ভ্রমণ নিষিদ্ধ) অবস্থানে দেখা গেছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা এখনো লাল তালিকায় রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশসহ রয়েছে ২১টি দেশ।