• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

র‌্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ব্যাপারে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) বিকেলে ঢাকা সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তারা ক্রমাগতভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং রোহিঙ্গাদের এখানে যে আমরা আশ্রয় দিয়েছি সেক্ষেত্রে তারা সর্বাত্মক সহায়তা করছে, সেবিষয়ে আলোচনা করেছি। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যে আজ আমাদের সবাইকে ভোগাচ্ছে এবং করোনা মহামারির পর এই যুদ্ধ হঠাৎ করে বেঁধে যাওয়া আমাদের সবার জন্য হতাশার বিষয় ছিল সেবিষয়গুলো আলোচনা করেছি।”

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সেগুলো কী কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেই অবজারভেশনগুলো আমাদের কমিউনিকেট করেছে, তারা বিস্তারিত দিয়েছে। এটা র্যাবের কাছে দেবে, যখন আমরা পাব তখন এটি নিয়ে কাজ করব। তারা পাঁচটি অবজারভেশন দিয়েছে সেগুলো বিস্তারিত পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।”

ড. হাছান বলেন, “আমাদের উভয় দেশেরই উইলিংনেস (ইচ্ছা) যে আমাদের সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। প্রতিনিধিদলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখার আমাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।”

বিএনপি এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, মানবাধিকার নিয়েও আলোচনা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুটি সামরিক চুক্তি বিগত সরকারের সময় অনেকদূর এগিয়েছিল, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট কোনো চুক্তি নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে জিসুমিয়া নিয়ে আমরা কাজ করছি।”

মিয়ানমার পরিস্থিতির জন্য বে অব বেঙ্গল নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়ে কিছু জানিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মিয়ানমার পরিস্থিতির কারণে আমাদের এখানে যে সিকিউরিটি ইস্যু তৈরি হয়েছে সেটি তো সঠিক। কারণ মিয়ানমার থেকে ৩৩০ জন তাদের সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্য এখানে পালিয়ে এসেছিলেন, তারা আবার তাদের ফিরিয়েও নিয়ে গেছে। সেখানে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং আরাকান আর্মির সঙ্গে যে সরকারি বাহিনীর সংঘাতের কারণে আমাদের এখানে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়েছে সেবিষয়ে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের সসম্মানে সব অধিকার দিয়ে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে তারা একমত। নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, সেটি নিয়েই আলোচনা করেছি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।”

Link copied!