দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপে উঠে এসেছে। উল্লিখিত প্রান্তিকে দেশের বেকার জনশক্তির সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার। ২০২২ সালের একই প্রান্তিকে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ১০ হাজার।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। একই সময়ে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার; আর নারী বেকার ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার।
বিবিএসের তথ্যমতে, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তাদেরই বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তারাও বেকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা মহামারির সময় একবারে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়াও প্রায় দুই বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতিসহ দেশের অর্থনীতিতেও নানা সংকট চলছে। যেমন ডলার সংকট চলমান থাকায় চাপে রয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। বেশি দামে ডলার ক্রয় করে ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে তাদের। ফলে মুনাফা ভালো না পাওয়ায় শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের পথেই হাঁটতে হচ্ছে তাদের।
প্রান্তিকভিত্তিক হিসাবের বাইরে বছরওয়ারি বেকারের একটি গড় হিসাব দিয়েছে বিবিএস। বছরওয়ারি তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের সাময়িক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশ কমেছে। গত বছর শেষে বেকার লোকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজারে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। বছরওয়ারি হিসাবে, গত বছর শেষে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।