• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধান দল আজ আসছে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধান দল আজ আসছে

ছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার পাঠানো একটি অগ্রবর্তী দল আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছাতে পারে। তথ্যানুসন্ধান মিশনের অংশ হিসেবে প্রাথমিক কারিগরি দলটি এক সপ্তাহের সফরে ঢাকায় আসছে।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বুধবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, মানবাধিকার সংস্থাটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শাখার প্রধান রুরি ম্যানগোভেনসহ তিনজনের এই দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবে।

আন্দোলনের সময়কার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর তদন্তের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া যায় তা দলটি খতিয়ে দেখবে, এমনটা জানিয়ে মোমেন বলেন, যারা আসছেন তাদের অগ্রবর্তী দল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মূল দলটি পরে আসবে।

এদিকে জেনেভা থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ যখন বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নৃশংসতার তদন্ত করতে যাচ্ছে, একই সময়ে বিষয়টি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায় তোলার জন্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন পশ্চিমা একাধিক দেশকে চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশ যখন উদারভাবে এ দেশের ইতিহাসের নৃশংসতম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জাতিসংঘকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সময়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায় বিষয়টি তোলা সমীচীন নয় বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত সপ্তাহে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘মাত্রাতিরিক্ত’ বলপ্রয়োগের গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং সহিংসতার ঘটনার ক্ষেত্রে নির্বিচার বল প্রয়োগ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের পাশাপাশি পাখি শিকারে ব্যবহৃত অস্ত্র, বুলেটসহ নানা রকম প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এ পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

Link copied!