দুই ভাগ হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একটি রাজস্ব নীতি ও অন্যটি নাম হবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।
তিনি বলেছেন, ঈদের পরই এ সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি হবে আর আগামী নতুন অর্থবছর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়্যারম্যান এ কথা বলেন।
আব্দুর রহমান খান বলেন, আগামী জুলাই থেকে কার্যকম শুরু করেই যত দ্রুত সম্ভব অপারেশনাল করব। আমরা সেদিকেই আগাচ্ছি। শুরুটা করতে হবে এবং বিবাদ যা থাকবে, সেই জায়গাটা আমরা পরে অ্যাড্রেস করব।
এনবিআর দুই ভাগে বিভক্ত হলে সেখানে কারা থাকবেন ও কাজ করবেন, সেটিও তুলে ধরেন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, কিছু বাইরের এক্সপার্টও থাকবে, বিশেষ করে ইকোনমিক, ফাইন্যান্স ও রিসার্চ থেকে কিছু লোক থাকবে। তবে এনবিআরের কর ও শুল্ক ক্যাডাররাই মূলত এ কাজগুলো করবেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যারা অভিজ্ঞ তারাই মূলত এ কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অন্যরা থাকবেন। আমরা নৈর্ব্যত্তিকভাবে কোনো কিছু না দেখে আইনে যা আছে, এটা আমরা প্রয়োগ করতে পারব। আরও বেশি সময় দিতে পারব। এর ফলে যেসব করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)-ধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন)-ধারীদের নিয়েও কাজ করা যাবে।
আমাদের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের বড় চাপ থাকত। সেটি আমরা পলিসির ওপর ভর করে আদায়ের চেষ্টা করতাম। এতে রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়ে গেল, বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
রাজস্ব কার্যক্রম সুশাসনের অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ইনকনসিসটেন্স বড় যন্ত্রণা। এজন্য অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অনেক আইন আছে কিন্তু প্রয়োগে শৈথিল্য। আইনের শাসন একেবারে অনুপস্থিত। করজাল ছোট এটাও সঠিক নয়। কর কম দেয় এটাও ঠিক নয়।
কর কমিশনার ও সংগঠনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন কর অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার ইকতিয়ার উদ্দিন মামুন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ। আর স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।