ঢাকার দোহার উপজেলায় ভোটার হতে এসে দুই রোহিঙ্গা এবং তাদের সহযোগিতা করায় স্থানীয় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মীরা।
আটক তিনজন হলেন কক্সবাজারের ঠেংখালী ক্যাম্প-১২–তে বসবাসরত রোহিঙ্গা হাবীবুল্লাহর ছেলে মো. সাঈদ (২৯), টেকনাফ জাদিমুড়ায় বসবাসরত রোহিঙ্গা আবুল কাশেমের ছেলে মো. আমির এবং তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আসা দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামের গৃহবধূ খাইরুন নাহার (৩৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মো. সাঈদ ২০১৫ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত প্রবেশ করেন। এরপর ভারত থেকে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। ২০১৯ সালে আবার তিনি বাংলাদেশে আসেন। আর আমির চার মাস আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসেন।
দোহার নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভোটার হওয়ার জন্য ওই দুজন নাগরিক সনদ, বিদ্যুৎ বিল, মা ও বাবার ভুয়া পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ নিয়ে গতকাল বিকেল চারটার দিকে দোহার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসেন। সেখানে নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের সন্দেহ করেন। এ সময় কাগজপত্র চ্যালেঞ্জ করা হলে সাঈদ ও আমির নিজেদের রোহিঙ্গা পরিচয় স্বীকার করেন। এই দুই রোহিঙ্গাকে সহযোগিতা করতে আসেন স্থানীয় নারী খাইরুন নাহার। পরে তাদের তিনজনকে আটক করে দোহার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, প্রতারণা করার চেষ্টার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।