বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিপত্র নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন স্থাটির দুই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আত্মগোপনে যাওয়া বিমানের ওই দুই কর্মকর্তা হলেন সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন। আনোয়ার হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ৭ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৩০৫ ফ্লাইটে কানাডায় পালিয়ে যান। আর সোহান আহমেদ পলাতক রয়েছেন ২৪ অক্টোবর থেকে। তিনি দেশের মধ্যে আত্মগোপন করেছেন।
আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চাঁদপুরের নুনিয়া গ্রামে। বাবার নাম আবুল মান্নান। সোহান আহমেদ রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন।
জিডির তথ্য অনুযায়ী, এই দুই কর্মকর্তার কাছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন চুক্তিপত্র, আরআই পলিসি ও সফটওয়্যারের তথ্য রয়েছে। এসব স্পর্শকাতর তথ্য তারা পাচার করে দিতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিমানবন্দর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জিডির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জিডিতে মাছুদুল হাসান নামের একজনের স্বাক্ষর রয়েছে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাকে জিডি করতে বলেছে। তাই তিনি এই জিডি করেছেন।
এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা (এমডি ও সিইও) মো. শফিউল আজিম বলেন, পলাতক দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।