জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার কয়েকজন নেতাকে আবারও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন।
এর আগে ভোরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
শামসুল হক টুকু ও জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া রিমান্ডের আদেশ পাওয়া বাকির হলেন সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের এই নেতারাসহ আরও কয়েকজন নেতা। এর পর রিমান্ডে নেওয়া হয় তাদের। এদের মধ্যে কারও কারও রিমান্ড শেষ হয়েছে, কারও কারও রিমান্ড চলছে।
রোববার বাড্ডা থানার সুমন শিকদার হত্যা মামলায় পলকের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড হয়েছে। আর সুত্রাপুর থানার এক মামলায় পলকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
এ ছাড়া লালবাগ থানার মামলায় শামসুল হক টুকু, আরিফ খান জয়, মোহাম্মদ সোহায়েলের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদাবর থানার মামলায় আহমদ হোসেন ও তানভীর হাসান সৈকতকে ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এদের প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এ নিয়ে সবার তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এরআগে গত ২৫ আগস্ট পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত।