কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন (জুলাই গণহত্যা) ঘিরে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
রোববার ছুটির দিনেও সংস্থাটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন সদস্যরা। অভিযুক্ত আর কেউ যেন দেশত্যাগ করতে না পারে এজন্য কঠোর গোপনীয়তা মেনে চলা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, চলতি সপ্তাহেই এজলাসে বসবেন বিচারকরা। শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ জমা পড়ছে ট্রাইব্যুনালে। তবে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ।
এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, “বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে।”
শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেসব অভিযোগ এসেছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।