পদ্মা সেতুর রেলপথে পরীক্ষামূলক চলছে ‘ট্রায়াল স্পেশাল ট্রেন’। আর এই ট্রেনের প্রথম যাত্রী ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার (৪এপ্রিল) দুপুর ১২টায় একটি গ্যাংকার (পরিদর্শন ট্রেন) ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর ওপর সড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২০ আগস্ট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর লোয়ার ডেকে (নিচতলা) রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্নের লক্ষ্য ছিল।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, “৩১ মার্চ সেতুতে স্লিপার ঢালাইয়ের মাধ্যমে ব্যালাস্টলেস (পাথরবিহীন) রেললাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া ও পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী যদিও একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন জুনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তবে প্রকল্প সূত্রে, আগামি ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে চলবে ট্রেন।”
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায় কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মূল লাইনসহ ২১৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।