রেয়াত সুবিধা উঠে যাওয়ায় শনিবার (৪ মে) থেকে ট্রেন যাত্রায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। রুট ভেদে ভাড়া বাড়ছে ৭-৯ শতাংশ। বাড়ছে কনটেইনার পরিবহন ভাড়াও।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
এর আগে ২২ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটির প্রভাব সব যাত্রীদের ওপর পড়বে।