• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩০, ১০ রজব ১৪৪৬

টিসিবির ৩৭ লাখ কার্ড ‘বাতিল’ নিয়ে মুখ খুললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
টিসিবির ৩৭ লাখ কার্ড ‘বাতিল’ নিয়ে মুখ খুললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “এক কোটি কার্ডের মধ্যে প্রচুর দুর্নীতি ছিল। একই পরিবারে একাধিক টিসিবির কার্ড ছিল। এনআইডি ব্যবহার করে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে এই কাজটা করেছে। এক কোটির মধ্যে যে ৩৭ লাখ কার্ড নেই, এর মধ্যে একজনও বাদ পড়েনি। যারা ছিল, যারা সঠিক প্রাপক, তাদের কাছেই পণ্য পাঠানো হচ্ছে। যারা বেঠিক ছিল, ডুপ্লিকেশন ছিল তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সংখ্যা একটিও বা কাউকে কমানো হয়নি।”

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. ওমর বোলাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমরা আরও ৩৭ লাখ কার্ড বাড়াতে চাই। ক্রয় ও বিপণনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে যদি এটা এক কোটি থেকেও বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়, আমরা সেটাও করব।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “টিসিবি দিয়ে যে চাল বিক্রি করা হয়, সেটি আমরা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করছি। আমরা বাজারে চালের সরবরাহ বাড়িয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারকে (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) কম দামে চাল দেওয়া হয়, সেটা শুরু হচ্ছে। টিসিবির স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারকে এ সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল দেওয়া শুরু করবে।”

এ সময় চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে এটা সাময়িক বলে জানান শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “রমজান নিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবেই প্রস্তুত। এই মুহূর্তে চালের বাজার নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আমদানি উদারীকরণ করেছি। চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল,‌ সেটা আমরা ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এই মুহূর্তে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েক লাখ টন চাল সরাসরি আমদানি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে হচ্ছে, ভারত থেকে হচ্ছে।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “এ মুহূর্তে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান আসবে। আমরা আশা করছি, এখন থেকে এপ্রিল অর্থাৎ আগামী তিন মাস বাজারে যে একটা সাময়িক অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা ইনশাআল্লাহ সেটা ঠিক হয়ে যাবে।”

Link copied!