দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের ফাঁকে দীর্ঘ চার বছর পর বুধবার (২৩ আগস্ট) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার।
বুধবার বিকেলে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এ বৈঠক হতে পারে।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা ও জিনপিংয়ের বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমাদের অব্যাহত চাপের মধ্যে এই দুই নেতার বৈঠক ‘বড় বার্তা’ দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি নেই, তবে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই বার্তা হয়তো আসতে পারে। এছাড়া আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ঋণ ইস্যুতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, “২০১৯ সালের পর চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার। সেই বিবেচনায় এ সাক্ষাৎ অবশ্যই গুরত্বপূর্ণ। দুই শীর্ষ নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। বৈঠকে নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচী নেই। দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই বার্তা হয়ত দুই নেতা দেবেন। আমরা ব্রিকসে যুক্ত হতে চাই। এ ব্যাপারে চীনেরও আন্তরিকতা রয়েছে। ব্রিকসে যুক্ত হতে আমরা চীনের সমর্থন চাইব।”
এদিকে সন্ধ্যায় জোহাসেনবার্গের গ্যালাঘের এস্টেটে ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের আয়োজনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।