বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ (২৩ মার্চ)। ১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের ১৯১টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করবে। বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে দিবসটি। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্মান্তরে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির ভবিষ্যৎ’।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থায় ১৯১টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। ১৮৭৩ সালে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা থেকে এর উত্পত্তি হয়ে ১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা।
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাণীতে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার উচ্চ তাপমাত্রা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।”
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নতর গাণিতিক মডেল, সর্বাধুনিক রাডার ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। ফলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।”
কর্মসূচি
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের সেমিনার হলে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, বিশেষ অথিতি থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান প্রমুখ। তা ছাড়া দেশের গণমাধ্যমগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক সেশন ও ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আবহাওয়াসংক্রান্ত্র বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।