আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধধর্মমতে, আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে দিনটি ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে পরিচিত। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম তিথিতে এ উৎসব পালন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
বুধবার (২১ মে) প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব সাড়ম্বরে উদ্যাপন করবে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন।
মঙ্গলবার ফেডারেশনের সহপ্রচার সম্পাদক নিপু বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় সেখানে বুদ্ধপূজা ও শীল গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যা ৬টায় ‘বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য’ নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ওয়াকিল উদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার উপস্থিত থাকার কথা।
খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এই দিনে নেপালের লুম্বিনীর শালবনে জন্মগ্রহণ করেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। আবার ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনেই তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পরিচিত।
বৌদ্ধ ধর্মমতে, গৌতম বুদ্ধের কাছে জাতি, শ্রেণি ও গোত্রের কোনো ভেদাভেদ ছিল না। তিনি মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণী রূপেই জানতেন।