তোয়াব খানের মৃত্যুতে সংবাদ জগতের যে শূন্যতা, তা কখনোই পূরণ হওয়ার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় শহীদ মিনারে তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “তিনি (তোয়াব খান) সব সময় নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন। ভাষাসৈনিক, শব্দসৈনিক ও সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”
এর আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয় দেশবরেণ্য প্রয়াত এ সাংবাদিককে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব মেজর লে. কর্নেল সৈয়দ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সহকারী সামরিক সচিব লে. কর্নেল জি এম রাজীব আহমেদ সম্মান প্রদর্শন করেন।
এ ছাড়া তোয়াব খানের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এর আগে সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে তোয়াব খানের মরদেহ নেওয়ার পর সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেওয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে তাকে রাখা হবে বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। ওই সময় তার দ্বিতীয় জানাজা হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে তার নিজ বাসভবনে। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিককে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
শনিবার (১ অক্টোবর) বার্ধক্যজনিত জটিলতায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান দেশের প্রথিতযশা এই সাংবাদিক।