শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, “শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়াশিল্পের উন্নয়নে ‘সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।”
সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি : চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়নে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, “সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বিদ্যমান সিইটিপির সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব আরও ৩টি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ট্যানারিগুলোর লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদ প্রাপ্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পাবে।”
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. আবদুল হালিম। মূল প্রবন্ধকার বলেন, “১৯৪০-এর দশকে দেশে প্রথম চামড়াশিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত।”
আবদুল হালিম বলেন, “পরিবেশবান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক চামড়াশিল্প খাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯’ প্রণীত হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে এটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।”
কর্মশালায় আলোচনা করেন বিসিকের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ।