• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোট না দিলে ভাতা বন্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে : মঈন খান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
ভোট না দিলে ভাতা বন্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে : মঈন খান
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না গেলে সরকারি সুবিধাভোগী মানুষের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, “বিএনপি ও ৬২টি গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি তথাকথিত নির্বাচনকে একযোগে বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের সব শ্রেণি-পেশার ভোটার, বিবেকবান ও সচেতন নাগরিক। দিশাহারা হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে বানরের পিঠা ভাগাভাগির এই ধিক্কৃত আয়োজনকে অবৈধ সরকার ‘অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত অংশ মিলে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অনুষ্ঠেয় অর্থহীন নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটার উপস্থিতি দেখাতে জনবিচ্ছিন্ন সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, তা নৈতিকভাবে গণবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে শিশুসুলভ। কেন্দ্রে ভোটারসংখ্যা বাড়িয়ে দেখাতে তাদের সব অপকৌশলের ফিরিস্তি আজ আন্তর্জাতিক অংশীজনদের কাছে সুস্পষ্ট, যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান আরও বলেন, “নিশিরাতের এমপিরা দেশজুড়ে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন ভোটকেন্দ্রে না গেলে লাখ লাখ সুবিধাভোগী মানুষ তাদের আর্থিক সুবিধা হারাবেন। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন। যা যুগের পর যুগ ধরে সব সরকারের অধীন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এসব সুবিধাভোগী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধানে এলাকায় এলাকায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাদের ভাতা বাতিল করে দেবে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতাভোগীকে ভোট প্রদানে বাধ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

মঈন খান অভিযোগ করে বলেন, “সারা দেশের প্রায় ২০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ানোর প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তে প্রশাসনের বিশাল অংশজুড়ে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের এই অপপ্রয়াস নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে দেশে-বিদেশে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, “৭ জানুয়ারির একতরফা ও ভাগ-বাঁটোয়ারার নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে হাস্যরস ও সমালোচনা চলছে। সরকার নিজ দায়িত্বে ও মরিয়া উদ্যোগে প্রতিদিন সেটিকে প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ডামি প্রার্থী ও ডামি দল উৎপাদন করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা নজর দিয়েছে জোরপূর্বক ডামি ভোটার সৃষ্টিতে।”

ভোটারদের উদ্দেশে মঈন খান বলেন, “আপনারা এই অবৈধ সরকারের হুমকি-ধমকি সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন। যে বা যারা আপনাকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছেন, তাদের নাম সংরক্ষণ করে রাখুন।”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!