• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

যে কারণে সুন্দরবনে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
যে কারণে সুন্দরবনে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপপ্রজাতি বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বাড়ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে। চলতি বছরের জরিপে বাঘের সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১১টি বেড়েছে। গত ছয় বছরে ১১টি বেড়ে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১২৫টি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা বলেন, ২০২৩-২৪ সালের বাঘ জরিপে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া যায়। তবে শাবকের সংখ্যা জরিপের ফলাফলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কারণ ছোট থেকে পূর্ণবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বাঘ শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি হয়ে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এ আজিজ। সুন্দরবনে বাঘ বেড়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে অধ্যাপক আজিব বলেন, বাঘের প্রজননের জন্য সুন্দরবনের অনুকূল পরিবেশ আছে। যে কারণে আগামীতে বাঘের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তথ্যমতে, ২০১৮ সালের জরিপে সুন্দরবনে পাওয়া গিয়েছিল ১১৪টি বাঘ। নতুন জরিপে পাওয়া গেছে ১২৫টি বাঘ। গত ছয় বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ১১টি। ২০১৫ সালে জরিপ শুরুর সময় প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটার বাঘের ঘনত্ব পাওয়া গিয়েছিল দুই দশমিক ১৭। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে দুই দশমিক ৬৪।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে আধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপ করা হয়। সে জরিপে বাঘ পাওয়া যায় ১০৬টি। পরে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায়।

উপদেষ্টা বলেন,ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে তৃতীয় পর্যায়ে বাঘ জরিপ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হয়। জরিপে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা, চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে চার ব্লকে ৬০৫টি গ্রিডে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়।

সুন্দরবনে ৬০৫ গ্রিডে পর্যায়ক্রমে ১২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৬৮টি গ্রিডের ক্যামেরায় বাঘের ছবি পাওয়া যায়। ক্যামেরার ১০ লাখের বেশি ছবি ও ভিডিও থেকে শুধুমাত্র বাঘের ছবি পাওয়া যায় সাত হাজার ২৯৭টি।

বাঘের ডোরাকাটা দাগ ও শরীরের নানা অংশের ছবি বিশ্লেষণ করে একক ও অনন্য বাঘের ছবি শনাক্ত করা হয়। যেখানে ২০১৫ ও ২০১৮ সালের জরিপে পাওয়া গিয়েছিল পাঁচটি করে বাঘ শাবকের ছবি। তবে শেষ জরিপে ২০২৩-২৪ সালে মেলে ২১টি বাঘ শাবকের ছবি। 

Link copied!