ইলিশ নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। এবার ইলিশ পাঠানো হবে না, এমনটাই বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। আর তা ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা ইলিশের প্রথম চালান ভারতে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বা হরিদাসপুর সীমান্তে পৌঁছায় ইলিশের এ চালান। আজ কলকাতার বাজারে এই ইলিশ হাতে পেতে পারেন ক্রেতারা।
কলকাতার ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ইলিশবোঝাই ট্রাক বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে হরিদাসপুর সীমান্তে ঢুকেছে। এখন সেখানে শুল্ক-সংক্রান্ত কাজ হচ্ছে। রাতেই এই ইলিশ হাওড়া, শিয়ালদহ, পাতিপুকুর ও শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারে ঢুকবে। কাল কলকাতার বিভিন্ন বাজারে মিলবে এই ইলিশ।
২১ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী এ বছর ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে। এ ইলিশ ভারতে যাবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। আনোয়ার মকসুদ বলেন, বৃহস্পতিবার ছয়টি ট্রাকে ৩০ থেকে ৪০ টন ইলিশ ঢোকার কথা। শুক্রবারে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে না। পরদিন শনিবার থেকে আবার আমদানি শুরু হবে।
ইলিশ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনোয়ার মকসুদ বলেন, কলকাতার ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এক আবেদনে বলেছেন, ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা যেন সংক্ষিপ্ত করা না হয়। গত বছর সময় স্বল্পতার কারণে রপ্তানির জন্য ঘোষিত পরিমাণ মাছ কলকাতায় আসেনি। সে বছর রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ ৩ হাজার ৯৫০ টন নির্দিষ্ট করলেও এসেছিল ৫৮৭ টন।
২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে ২০১৯ সাল থেকে গত পাঁচ বছর ধরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে। আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫০০ টন ইলিশ এসেছিল। এরপর ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৫০ টন, ২০২১ সালে ১ হাজার ২০০ টন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩০০ টন এবং ২০২৩ সালে ৫৮৭ টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছিল ভারত। আর এবার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।