অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, “গৃহস্থালি কাজের মূল্য জিডিপির বাইরে রাখার কোনো কারণ নাই। যে সকল লেনদেন টাকায় হয়ে থাকে, সেগুলো বর্তমান হিসাব পদ্ধতিতে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশে গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য কোন পদ্ধতি বা কীভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে বিবিএস, বিআইডিএস বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ মতামত তুলে ধরতে পারে।”
রোববার (২৬ মে) ঢাকায় ব্রাক ইন-এ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, “যেসব নারীরা ঘরে কাজ করে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, সেসব নারীদের অবদানের মূল্যায়ন আমাদের জিডিপিতে প্রকাশ করা জরুরি। সরকার জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের বিষয় বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ইতোমধ্যে বিবিএস টাইম ইউজ সার্ভে ২০২১ প্রকাশ করেছে। বিআইডিএস নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে গবেষণা করছে।”
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা যে, আনপেইড কেয়ার ওয়ার্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ যেহেতু অনেক কিছুরই রোল মডেল, অন্যরা না করলেও যে আমরা করব না, সেটা না। আমরা গুরুত্ব সহকারে এগিয়ে যাব। এ বিষয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি নারীদের আর্থিক খাতে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করবে।”
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। বেড়েছে গড় আয়ু, কমেছে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার।”
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও নারী উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং শ্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে।”