নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ না থাকায় বিনিয়োগ আসছে না বলে জানিয়েছেন হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, “দেশে প্রায় ২৫ শতাংশ ক্যাপিল মেশিনারিজ আমদানি কমেছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২২ শতাংশ। বাজেটের অধিকাংশ ব্যয় অনুন্নয়ন খাতে।”
রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীর ব্রাক ইন সেন্টারে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ কে আজাদ বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাসের কথা বলে দাম বাড়ানো হলো, কিন্তু লোডশেডিং কমেনি। ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ডিজেল দিয়ে, সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস এনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। অনেক কারখানা বন্ধ হচ্ছে।”
পাশের দেশ ভারতের বিনিয়োগ নীতির কথা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, “তাদের জমি, বিদ্যুৎ, জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়। ৫ বছরের জন্য কর্মীদের বেতন দেয় সরকার। বিনিয়োগ তো ওই দেশেই হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না হলে কর্মসংস্থান বাড়ানো যাবে না।”
আওয়ামী লীগ সরকার চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এখন উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট পার হয়েছে। কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হবে, তা সংশোধন হচ্ছে বলেও জানান হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।