চলছে ধান কাটা আর মারাইয়ের কাজ। কিছুদিন পরেই বাজারে আসবে নতুন চাল। এরইমধ্যে রাজধানীতে কেজিতে দুই টাকা করে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকলেও সংকট তৈরি করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল সংকটে দাম বেড়েছে। নতুন চাল বাজারে আসলে দাম কমে যাবে।
উত্তরার এক চাল ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এখন চাল আগের মতো নেই। আড়তে যা চাল ছিল সেগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। এজন্য দু’একটা বেড়েছে। তবে নতুন চাল খুব শিগগিরই চলে আসবে। নতুন চাল আসলেও দাম আবার কমে যাবে।”
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেটের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়। মান ভেদে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি। এছাড়া গরীবের চাল হিসেবে পরিচিত গুটি স্বর্ণা ৫২ টাকা ও বি.আর ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে এসেছেন মো. সিহাব মণ্ডল। চালের দাম বৃদ্ধির কথা শুনে চাল ব্যবসায়ীর কাছে কারণ জানতে চান তিনি। উত্তরে ব্যবসায়ী বলেন, “বাজারে চাল সংকট, তাই বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
চাল মজুত থাকার পরও সংকট তৈরি হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় চাল ব্যবসায়ীর কাছে। উত্তরে তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমরা আড়তে গিয়ে দেখি আগের মতো বস্তা নেই। আড়ত মালিকরা বলছেন চাল নেই। এখন আমরা কি করবো”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি চালের বস্তায় দাম বেড়েছে। কেন বেড়েছে আমরা আড়ত মালিকদের বললে তারা হইচই করেন। এজন্য আমরা যা দামে কিনে আনি তার চেয়ে একটু লাভে ছাড়তে হচ্ছে। আগের মতো চালে এখন লাভ হচ্ছে না। তবে নতুন চাল বাজারে আসলে আশা করি দাম কমে যাবে।”