নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “শিক্ষা খাতে যে কার্যত বরাদ্দ সেটি কমে গেছে এবং যেটুকু হয়, সেটুকু বাস্তবায়ন হয় না। শিক্ষার বরাদ্দের ক্ষেত্রে কাঠামোগত সমস্যা আছে।”
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ ও বিরাজমান পরিস্থিতি অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। এগুলো আবারও সেই ইমারত বানানোর ব্যাপার।”
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে নিয়ম রাখা হয়েছে, তা সংবিধান পরিপন্থি। এই বাজেট বে-নজির বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা কোথাও কোনো স্বস্তি দেখি না। চলমান সময়ে পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে সুরক্ষা দিতে হয়। বিভিন্ন খাতে দেখা গেছে প্রস্তাবিত বাজেটে সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত হওয়ার কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি খাত, ব্যাংক খাত ও পুঁজিবাজারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দেখা যায়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা ও সংস্কারের বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি এবং আসক্ত হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।”
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা প্রস্তাবিত বাজেটে মেলানো হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব নীতি ও অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছিল তার সঙ্গে বাজেটের বরাদ্দ মিলে না। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় দেখলে বোঝা যায়, সাধারণ মানুষের নয়, ব্যক্তি বিশেষের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।”