• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রভাবশালী মুসলিম তালিকায় ড. ইউনূস ছাড়াও রয়েছেন দুই বাঙালি নারী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
প্রভাবশালী মুসলিম তালিকায় ড. ইউনূস ছাড়াও রয়েছেন দুই বাঙালি নারী
দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টারের প্রকাশি তালিকার একাংশ। ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে আম্মানের দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার। তাদের প্রকাশিত তালিকায় ৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ তালিকায় বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও আরও দুই নারী রয়েছেন। তারা হলেন, ড. হামিদা হোসেন ও রাজিয়া সুলতানা।

সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার।

প্রকাশিত এই তালিকায় ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

তালিকায় ৫০ নম্বরে স্থান পাওয়া শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি তিনি বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যতম মুখ।

এদিকে তালিকায় থাকা ড. হামিদা হোসেন বাংলাদেশের ও সারা বিশ্বের মানবাধিকার-নারীবিষয়ক অনেক বই এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (বিডিআই) আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।

অপরদিকে রাজিয়া সুলতানা একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। যিনি রোহিঙ্গা জনগণের জন্য অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি শতাধিক রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যৌননির্যাতনের কাহিনি প্রকাশ করেছেন। তিনি ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের (এফারসি) সমন্বয়ক ও আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংগঠনের (এআরএনও) পরিচালক। ২০১৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক নারী সাহসী পুরস্কার লাভ করেন।

এদিকে ২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকার নারী বিভাগের ‘ওমেন অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করছেন।

এই তালিকায় আরও অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যেমন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন।

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রকাশিত হয় ‘দ্য মুসলিম ৫০০ : দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস।’ প্রায় ১৬ বছর ধরে তারা বিশ্বজুড়ে প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনাপূর্বক মুসলিমদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে।

Link copied!