• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আয়কর হার থেকে রেহাই পাচ্ছেন অতি ধনীরা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
আয়কর হার থেকে রেহাই পাচ্ছেন অতি ধনীরা
জাতীয় বাজেট। ছবি : সংবাদ প্রকাশ গ্রাফিক্স

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি-শ্রেণির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এরপর ৩ বছর এ করহার অব্যাহত ছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করহার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বার্ষিক ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় থাকলে এ হার প্রযোজ্য। কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, বর্তমানে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ আয়কর শ্রেণির হার ২০২৪–২৫ করবর্ষের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে। এটি ২০২৫–২৬ করবর্ষ থেকে শুরু করে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হতে পারে।

এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার বৃদ্ধির প্রস্তাব করার পর এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এ হার বৃদ্ধির ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য আয় বৈষম্য কমানো, সরকারি পরিষেবার অর্থায়ন করা এবং সম্পদের আরও সুষম বণ্টনের পৃষ্ঠপোষকতা। জনগণ এবং অর্থনীতিকে মহামারির ধাক্কা থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ২০২০–২১ অর্থবছরে ব্যক্তিগত আয়করের সর্বোচ্চ হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

বর্তমানে এনবিআর পাঁচটি শ্রেণির আওতায় ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ করে। সাড়ে তিন লাখ টাকার করমুক্ত আয়সীমার পর থেকে করের বিভিন্ন হার শুরু হয়। সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ৫ শতাংশ, সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, সাড়ে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, সাড়ে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ২০ শতাংশ এবং সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ কর সংগ্রহ করা হয়।

অডিট, ট্যাক্স ও পরামর্শ পরিষেবা প্রদানকারী ফার্ম স্নেহাশিষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার স্নেহাশিষ বড়ুয়া বলেন, “করের যথাযথ প্রভাব কেবল নতুন ৩০ শতাংশ করশ্রেণির আওতায় পড়া উচ্চ-আয়কারীদের জন্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি গত বছরের ব্যক্তিগত আয়কর হার অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে এনবিআরের প্রত্যাশিত রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, যদি করপোরেট আয়কর হারও অপরিবর্তিত থাকে, তবে এনবিআর অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবে। কারণ বিলে ২৫ শতাংশ বা সাড়ে ২৭ শতাংশ প্রস্তাব করা হলেও আগে এটি সাড়ে ২৭ শতাংশ বা ৩০ শতাংশ ছিল।”

Link copied!