• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
দুই দশকে ২৩ অগ্নিকাণ্ড

২২ দফায় সুন্দরবন পুড়েছে ৭১ একর


বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪, ০২:৫৫ এএম
২২ দফায় সুন্দরবন পুড়েছে ৭১ একর
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিগত দুই দশকে ২২ বার আগুন লেগেছে বনটিতে। আর এসব অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৭১ একর এলাকার নানা প্রজাতির গাছ, লতাপাতা, গুল্ম।

শনিবার (৪ মে) লাগা আগুন নিয়ে দুই দশকে বন পুড়ল ২৩ বার। তবে এবার কতটা পুড়ছে বন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

বন বিভাগের নথির তথ্য বলছে, ২০০২ সালে একবার অগ্নিকাণ্ড ঘটে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কটকায়। এরপর একই রেঞ্জের নাংলী ও মান্দারবাড়িয়ায় দুবার ঘটে অগ্নিকাণ্ড।

এরপর ২০০৫ সালে পচাকোড়ালিয়া, ঘুটাবাড়িয়ার সুতার খাল এলাকায় দুবার, ২০০৬ সালে তেড়াবেকা, আমুরবুনিয়া, খুরাবাড়িয়া, পচাকোড়ালিয়া ও ধানসাগর এলাকায় পাঁচবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

২০০৭ সালে পচাকোড়ালিয়া, নাংলি ও ডুমুরিয়ায় তিনবার, ২০১০ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১১ সালে নাংলীতে দুবার, ২০১৪ সালে গুলিশাখালীতে একবার আগুন লাগে।

২০১৬ সালে নাংলী, পচাকোড়ালিয়া ও তুলাতলায় তিনবার, ২০১৭ সালে মাদ্রাসারছিলায় একবার এবং চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ধানসাগর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সবশেষে চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনাঞ্চলে গত শনিবার আগুন লেগেছে।

বিগত ২২ বারের অগ্নিকাণ্ডে ৭১ একর ৬৬ শতাংশ বনজ সম্পদের (সুন্দরী গাছসহ বিভিন্ন লতা-গুল্ম) পুড়ে যায়। যার আর্থিক মূল্য ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৩ টাকা।

গত প্রায় দুই দশকের ২৩ দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেওয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে।

তদন্ত কমিটিগুলো এযাবৎ নানা সুপারিশ করেছে বনকে সুরক্ষা দিতে। এর মধ্যে অন্যতম বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন-সংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ।

তবে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন সব সময়ই উপেক্ষিত থেকে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বন বিভাগ, স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবাদীরা বনজ সম্পদ সুরক্ষিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বার বার সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।

Link copied!