• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুল্ক ছাড়েও কমছে না আলু-পেঁয়াজের দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৯:২৩ এএম
শুল্ক ছাড়েও কমছে না আলু-পেঁয়াজের দাম

শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার পরও বেড়েই চলছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে আলু কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম নতুন করে আরও ১০ টাকা বেড়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসে এনবিআর পেঁয়াজ আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। শুল্ক ছাড়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ দেশে আসছে, এর পরও দাম না কমে উল্টো বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে দেশি ও আমদানি দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম বাড়তি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। সরবরাহ সংকটে বাজারে দেশি রসুনের দামও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় উঠেছে।

আমদানি রসুন কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায় এবং সোনালি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের আগাম সবজি বাজারে চলে আসায় সরবরাহ বেড়ে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তথ্যে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরের মতো এবারও আলুর বাজারে অস্থিরতার কারণ হিমাগার মালিকদের কারসাজিই। তারা মৌসুমের শুরুতে কম দামে আলু কিনে মজুদ করেন এবং পরে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেন। একই প্রক্রিয়া চলছে সারা দেশে। শুধু আলু ও পেঁয়াজ নয়, বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই মজুদদারি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি।

Link copied!