• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেড় শ ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
দেড় শ ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের দাম

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। স্থান ভেদে ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ ১৮০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে একই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। নগরীর মহাখালী, গুলশানসহ অন্যান্য বাজারগুলোতেও মরিচের দাম ছিল দেড়শ টাকারও ওপরে।

এর আগে গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তার দুই সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

অতনু হালদার নামের এক ব্যক্তি এসেছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রকদের দুর্বলতার অভিযোগ করে বলেন, “বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় কিনেছিলাম, আজকে দেখি দেড় শ টাকার ওপরে। বিক্রেতারা বলছে, বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে, তাই দাম বেশি। প্রতি বছর এই সময়টাতে এমন হয়। কিন্তু আমার মনে হয় বাজার যারা তদারকি করেন, তাদের দুর্বলতার কারণে দাম বেড়েছে। বাজার ঠিকমতো তদারকি করা হলে দাম বাড়তো না।”

নিকেতন থেকে আসা শাওন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, “এখন রাতে ঘুমাতে গেলে টেনশন সবচেয়ে বেশি হয় বাজার নিয়ে। সব জিনিসের দাম বেশি। কাঁচা মরিচের দাম এক মাসের মধ্যে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নিকেতন থেকে কারওয়ান বাজারে আসছি দুই টাকা কমের আশায়। কিন্তু এখানে এসেও দাম ছাড়ে না। এতো দূর হেঁটে এসে কোনো লাভই হয়নি।”

লাইলি আক্তার নামের আরেক ক্রেতা এক কেজি বদলে আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছেন। কারণ তার কাছে ১৬০ টাকা কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। তিনি বলেন, “কিছু দিন আগে কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় কিনছি। তখন বেশি করে কিনেছি। এখন শেষ হয়েছে। কিনতে এসে দাম শুনি ১৬০ টাকা, ১৪০ টাকা। সব জিনিসের দাম বাড়তি। কিভাবে মানুষ খাবে এই চিন্তা করে না। শুধু দাম বাড়ে।”

ওসকর আলী নামের এক মরিচ বিক্রেতা বলেন, “কাঁচা মরিচের দাম একটু বাড়তি। তাই ক্রেতারা কম করে কিনছেন। আগে যে কাস্টমার ১ কেজি কিনতো, এখন সে কিনছে আড়াইশ গ্রাম-হাফ কেজি। এই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের অভিযোগ বেশি। কিন্তু কী করা, আমরা দুই-চার টাকা লাভের জন্য ব্যবসায় আসছি। লাভ না হলে তো, লস করে বিক্রি করতে পারবো না।”

রহিম বাদশা নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হলো। এ সময় কৃষকদের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তাই বাজারে মরিচ কম আসছে। তাই দাম বেশি। ক্রেতারা অভিযোগ করবেই। এর মধ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।  কিছুই করার নাই। আমরা কম দামে পাইলে, কম দামে বিক্রি করবো।”

Link copied!