বাংলাদেশের জনগণ যত দিন চাইবে, তত দিনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে। আমি এই অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এটি জনগণেরই ক্ষমতা, আমি তাদের ক্ষমতা তাদের কাছেই রাখতে চাই।”
বুধবার (২৪ মে) কাতার ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন হলো জনগণের অধিকার। আমরা কী (উন্নয়ন) করেছি, তারা তা দেখেছে। তারা যদি আমাকে ভোট দেয়, তাহলে আমি আছি, আর যদি না দেয়- তবে ঠিক আছে আমি থাকব না।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সময় অনেকগুলো উপনির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে সেখানে সমস্যা তৈরি করেছে? আমরা তো করিনি। কিন্তু সব নির্বাচনেই তো কিছু ঘটনা ঘটে।”
তিনি বলেন, “আমি ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাই না। বরং আমি দেশের জনগণকেই ক্ষমতায়িত করতে চাই, যাতে তারা তাদের অধিকার চর্চা করতে পারেন। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোভিড মোকাবিলা করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলো। সবকিছুর দাম বেড়ে গেল। আবার আমরা ওভারকাম করলাম। আমাদের অর্থনীতি চলছে। জিডিপি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আইএমএফের ঋণ নিচ্ছি আমরা। একটা কথা হচ্ছে, আইএমএফ তাদেরই লোন দেয়, যারা পরিশোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ এই ঋণ কাজে লাগাতে পারবে। পরিশোধও করতে পারবে।”
কত দিন ক্ষমতায় থাকতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যত দিন আমার দেশের জনগণ চাইবে। কারণ, আমি দেশের মানুষের জন্যই কাজ করছি। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মানুষকে একটি উন্নত জীবন দেওয়া। এটি আমারও লক্ষ্য। আমার দেশের জনগণ ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না, অপুষ্টিতে ভুগবে না, শিক্ষা, বাসস্থান কিংবা চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদার অভাবে ভুগবে না। এই বিষয়গুলোই আমি নিশ্চিত করতে চাই। আমরা গত সাড়ে ১৪ বছরে এরই মধ্যে এর অনেকটাই করতে পেরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২২ সালে সেটিকে আমরা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আশা করি, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না।”