• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

যে পথ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
যে পথ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এরই মধ্যে কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বাড়িয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৪) বুধবার (২৩ অক্টোবর) এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় উইন্ডিডটকম থেকে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এখন যে অবস্থায় আছে, সেভাবে থাকলে তা বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর উপকূলে পৌঁছবে। এটি মূলত ভারতে ওপরে আছড়ে পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশের উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।

ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার মধ্যে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে ধামরা বন্দরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়টি। সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপেই স্থলভাগে ঝাপটা দেবে ‘দানা’। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফলে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ঝড়টি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পরপরই যদি ডান দিকে বাঁক নিয়ে নেয়, তাহলে এটি পুরোপুরি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা (খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা প্রভৃতি এলাকা) দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। তবে এই শঙ্কা খুব কম। তবে ডান দিকে টার্ন নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সম্প্রতি বিদায় নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে স্থলভাগ থেকে বাতাসের গতিবেগ সাগরের দিকে ধাক্কা দেয়ার একটি শক্তি কাজ করছে। এই শক্তির কারণে উত্তর গোলার্ধে (বাংলাদেশ এই গোলার্ধে) বাতাস ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরে বলে ঝড়টি দক্ষিণে ধাক্কা খাবে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত করতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর  দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সh মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

 

Link copied!