• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের কৌশল জানালেন মেয়র


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম
ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের কৌশল জানালেন মেয়র

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক বাস্তবায়িত জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চলমান অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করে নিতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের অষ্টাদশ বোর্ড সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আবারও বর্ষা মৌসুম সমাগত। জলাবদ্ধতা নিরসন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর আমরা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এ বছর আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। যার যার এলাকায় খাল আছে, দয়া করে আপনাদের চাহিদা দিয়ে, একটু নজরদারি করে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন।”

তাপস বলেন, “সে জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে। কিন্তু কিছু সময় হয়তো অবহেলা হয়। ঠিকাদাররা ১-২ দিন কাজ করল আবার হয়তো পরের দিন কাজ করল না। এ ধরনের বিষয়ও মাঝেমধ্যে লক্ষ করা যায়। সুতরাং আপনাদের একটু নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।”

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ভোগ করতে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির ওপর জোর দিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা সব নর্দমা পরিষ্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ হতে শুরু হয়ে তা এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা অবশ্যই আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়ার্ডের নর্দমাগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন।”

মেয়র আরও বলেন, “কোথায় কোথায় বর্জ্য জমে ভরাট হয়ে গেছে, তা আপনাদের নখদর্পণে আছে। অবশ্যই সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমাগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।”

বোর্ড সভায় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের কাউন্সিলরেরা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!