• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মোবাইলে সর্বশেষ মা-বাবার সঙ্গে যে কথা হয়েছিল কাওছারের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ১১:১৮ এএম
মোবাইলে সর্বশেষ মা-বাবার সঙ্গে যে কথা হয়েছিল কাওছারের
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আহমেদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। কাওছার উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর ছেলে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হায়াত আলী ছেলের ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানেন না।

গতকাল বেলা সোয়া তিনটার দিকে মোবাইল ফোনে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রায় ১৬ মিনিট কথা হয় কাওছারের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের। স্বামীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি।

নিলুফার ভাষ্য, তার স্বামীর ঘটনার বিষয়ে শনিবার (৮ জুন) রাত তিনটার দিকে জানতে পারেন। ঢাকা থেকে আমজাদ হোসেন নামের পুলিশের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে বিষয়টি তাকে জানান। এ ঘটনা জানার পর তিনি তার শ্বশুর হায়াত আলীকে জানাননি। তার শ্বশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার বয়স ৮০ বছর। ছেলের এ ঘটনা জানলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এ জন্য তাকে জানানো হয়নি। তবে শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানিয়েছেন নিলুফা।
কাওছারের দুই সন্তান আছে। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালের মাঝামাঝি তিনি বিয়ে করেন। সংসারে কোনো ঝামেলা বা কলহ নেই বলে জানালেন স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, শনিবার রাত আটটার দিকে সর্বশেষ কাওছার তার মা-বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তার সঙ্গে কথা হয়েছিল বিকেলের দিকে। সে সময় কাওছার বলেছিলেন, ঈদের ছুটি নেওয়ার জন্য ৪ তারিখ আবেদন করেছেন। এবার ঈদে বাড়িতে আসবেন।

যে ক্ষোভ থেকে সহকর্মীকে গুলি করেন কনস্টেবল কাওছার

নিলুফা বললেন, “কাওছারের মানসিক সমস্যা ছিল। রাঙামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওছারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে।”

তবে কাওছার গুলি করে সহকর্মীকে হত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না তার স্ত্রী। নিলুফা বলেন, “আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে গুলি করার মতো কোনো ঘটনা তিনি ঘটাতে পারেন। কীভাবে কী হয়েছে, সেটা বুঝতেছি না।”

কথার একপর্যায়ে নিলুফা জানালেন, কিছুদিন ধরে কাওছার খুবই কম কথা বলতেন। ঈদের কেনাকাটার জন্য বাড়িতে টাকাও পাঠিয়েছিলেন। সংসারে কোনো অভাব-অনটন ছিল না। তবে চাকরি নিয়ে খুবই টেনশন করেন তিনি। ছয় ঘণ্টার ডিউটি আট ঘণ্টা হতো। এ ছাড়া নানা বিষয় নিয়ে তিনি (কাওছার) টেনশন করতেন। এ ছাড়া তেমন কিছু জানা নেই।

Link copied!