• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিল যে প্রতিষ্ঠান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিল যে প্রতিষ্ঠান
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ফাইল ছবি

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসাসেবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। এই ফাউন্ডেশন আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের সেবা প্রদান করবে।

প্রতারণা ও নানান অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার বর্তমানে ডিবির রিমান্ডে রয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময়ে তার আশ্রমে থাকা বৃদ্ধ, অনাথ শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন থেকে সব ধরনের সেবা প্রদান করা হবে। আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার রোববার ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন। তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসাসেবা দেবেন। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকবেন। তিনি চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন। এতে যা খরচ হবে সেই খরচ আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন থেকে ব্যয় করা হবে।”

এর আগে কয়েক দিন ধরে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। এমনকি অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির মতো অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন মিল্টন।

এ ছাড়া জাল ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগ রয়েছে। অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবার কথা বলে গড়ে তোলা ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

এসব অভিযোগে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগ। পরে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা হয়।

Link copied!