তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, “সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ও অনুমোদিত ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটর গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। এর বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।”
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশি-বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।”
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এ সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে। যারা অবৈধ সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে, ক্লিনফিডের ব্যবস্থা না করে ইচ্ছেমতো বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেল দেখাচ্ছে, তাদের কারণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।