নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “সরকার ভয়ের মধ্যে আছে, দেশে কখন কী হয়ে যায়। কারণ, প্রথম আলোর রিপোর্টে এক জাকির হোসেনের বক্তব্য নিয়ে এত অস্থির হয়ে গেছে। তারা মনে করে জনগণ আজ তাদের সঙ্গে নেই।”
সোমবার ( ৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “বর্তমান সরকার মনে করে এই বছর নির্বাচনের বছর। সরকার টেনশনে আছে আগের মতো দিনের ভোট রাতে করতে পারবে না। কারণ জনগণকে এবার বোকা বানিয়ে আর নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে প্রতিনিয়ত তারা একটা আতঙ্কের ভেতর আছে।”
চলমান যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “কিছুদিন আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের নির্ধারিত জায়গায় সমাবেশ করতে দেয়নি। তারা বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরাও তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই আমরাও কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। এখন সময় এসেছে জনগণকে মাঠে নামতে হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে জনসংসতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “বর্তমান সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে বুঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ‘গুম’ করে ‘হত্যা’ করা। গুম খুনের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাষ্ট্র চালানোর পাঁয়তারা করছে এই সরকার।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “দেশের ৮০ ভাগ মানুষ মনে করে স্বাধীনতা মানে ভাত, মাংসের স্বাধীনতা। প্রতিদিন মিথ্যা বলে উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে বোঝানো যায় না। তাই এখন তারা বেঁচে নিয়েছে দমন-পীড়নের মাধ্যম। তাই করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। কারণ, আপনারা জানেন গণমাধ্যম সত্য বলতে পারে না, তাই মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলে। সামাজিক মাধ্যমে এই কথা বলা বন্ধের জন্য করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।”
তিনি বলেন, “গণমাধ্যমকে চাপে রাখতে প্রথম আলোকে একটু জেলে ঢুকিয়ে দিয়ে সব গণমাধ্যমকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকার এখন কাজ শুরু করেছে। যাতে করে গণমাধ্যম সরকারের দুর্নীতির রিপোর্ট তুলে ধরতে ভয় পায়।”
অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ স্বপন বলেন, “দেশের ১৮ কোটি মানুষ লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে। কিন্তু সরকারের কোনো লজ্জা নাই। আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে যখন গুম-খুনের দায়ে বিদেশিরা নিষেধাজ্ঞা দেয় তখন সরকারের লজ্জা হয় না। তাদের লজ্জা হয় গণমাধ্যমে যখন দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে তখন। সেই গণমাধ্যম তখন হয়ে যায় রাষ্ট্রবিরোধী।”