• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতার্তদের পাশে শহীদ লে. কর্নেল আজাদের পরিবার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
শীতার্তদের পাশে শহীদ লে. কর্নেল আজাদের পরিবার
শহীদ লে. কর্নেল আবুল কালামের স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা এক যুবককে কম্বল দেন

হিমেল হাওয়া, কুয়াশা এবং সূর্যের উত্তাপ কম থাকায় কয়েক দিন ধরেই উত্তরের জেলাগুলোতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে রাজধানীর পরিস্থিতি ভিন্ন, শীতের অনুভূতি খুব একটা তীব্র নয়। তবে সন্ধ্যা নামলেই জেঁকে বসে শীত। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে সড়ক কিংবা ফুটপাতে থাকা মানুষরা। এমনই কয়েকজন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন র‌্যাবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান শহীদ লে. কর্ণেল আবুল কালামের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকায় শহীদ লে. কর্ণেল আবুল কালামের স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা, তার ১২ বছরের ছেলে জারিফ, ১১ বছরের মেয়ে জারা ও ৮ বছরের ছোট ছেলে জাবিরকে নিয়ে অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

দেখা যায়, র‌্যাবের পোশাক পড়া দুইজন ব্যক্তির সহযোগিতায় তিনি তার ছোট দুই ছেলে ও একটি ছোট মেয়েকে নিয়ে কনকনে শীতের রাতে খুঁজে খুঁজে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে অসহায় পথশিশু ও বাস্তহারা নারী-পুরুষের ভিড় জমে যায়। সবাইকে তিনি শীতবস্ত্র কম্বল আর শীতের পোশাক বিতরণ করেন।

শীতবস্ত্র বিতরণকালে সুরাইয়া সুলতানা বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব। শীতবস্ত্র বিতরণ শুধুমাত্র অসহায় মানুষের প্রতি করুণা নয়, হৃদয়ের মানবতাবোধকে জাগ্রত করা ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করা বোধ থেকেই এ কাজ করি।”

তিনি আরও বলেন, “অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এভাবে সহায়তা দিয়ে আসছি। যত দিন বেঁচে থাকব, সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমাদের মত মানুষ যদি এদের পাশে না দাড়ায় কোথায়, কার কাছে গিয়ে সাহায্য পাবেন তারা।”

২০১৭ সালের ২৫ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান অপারেশন টুইলাইটে অংশ নেন র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ। এ সময় জঙ্গি আস্তানার বাইরে অবস্থানকালে বোমা হামলায় আহত হন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়ার পরদিন তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ মার্চ মারা যান তিনি।

Link copied!