ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে দেশের ১৫ জেলায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এর মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে, দেয়াল ধসে এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর আসছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ শুরু হয় উপকূলের জেলাগুলোতে।
সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।
এর মধ্যে ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গেছেন চারজন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ গেছে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর।
কক্সবাজারের টেকনাফে এক বিদেশি নাগরিক এবং শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন করে; নড়াইলের লোহাগড়া, বরগুনা সদর, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় একজন করে মারা গেছেন ঝড়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে।
সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন এক শ্রমিক।
এদিকে ঝড়ের সময় দেয়াল ধসে রাজধানীর হাজারীবাগ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুজনের প্রাণ গেছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে এক শিশুর লাশ। শিশুটি জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা।