দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা উন্নয়নের ধারা রুখতে পারবে না। অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খোঁজে। তারা জানে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। এর চেয়ে ভালো কিছু জানা নেই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ উল্টো ভোট দিতে জনগণকে উৎসাহিত করেছে। বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট প্রত্যাখ্যান করে দেশবাসী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়েছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করব, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।”
অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, “ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধের পক্ষে না, শান্তির পক্ষে। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় হোক।” এ সময় ফিলিস্তিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।