দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির চতুর্থ দিনের প্রথম ভাগে ২৪ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে চতুর্থ দিনের শুনানি শুরু হয়।
বেলা একটা পর্যন্ত শুনানি চলে। তারপর মধ্যাহ্নের বিরতি শুরু হয়।
প্রথম ভাগে ৫৯টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র। একজনের প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হকের প্রার্থিতা বহালই থাকছে। তার মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন। তার মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আপিলটি করেছিলেন।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে তিনি যে আপিল আবেদন করেছিলেন, তা আজ শুনানিতে নামঞ্জুর হয়ে গেছে।
খেলাপি ঋণ থাকায় যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। একই অভিযোগে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়া ব্যক্তির নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এছাড়া কুমিল্লা-৯ আসনে জাসদের প্রার্থী মনিরুল আনোয়ারের আদেশ স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার ৩০১-৪০০ নম্বর আপিলের শুনানি চলছে। বিকালে দ্বিতীয় ভাগের শুনানিতে আরও ৪০টি আপিল শুনানি করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার পক্ষে-বিপক্ষের ৫৬১টি আপিল আবেদনের ওপর রোববার শুরু হওয়া এই শুনানি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
এর আগে তিনদিনে মোট ১৬৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। শুনানি শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছে ইসি। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি চাইলে উচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।